• রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪২৯

সারা দেশ

সমাজ উন্নয়নে কালীগঞ্জের শ্রেষ্ঠ জয়িতা নুসরাত কবির

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি:

মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উদ্যোগে জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ-২০২৩ শীর্ষক কার্যক্রমের আওতায় গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন যে নারী” ক্যাটাগরীতে নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ জয়িতা নুসরাত কবিরের সাফল্যের গল্প।

মানুষ স্বপ্ন নিয়ে বাঁচতে চায়। মানুষ স্বপ্ন দেখে বাঁচতে চায়। প্রত্যেকটা মানুষের মনে থাকে অদম্য বাসনা কিংবা অনেক বড় হবার স্বপ্ন। ঠিক এমনই একজন মানুষ গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার পৌর এলাকার তুমুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা এস.এম মোজাম্মেল কবির ও নুরুন্নাহার বেগম দম্পতির কন্যা নুসরাত কবির। বেড়ে ওঠার সাথে সাথে মানবসেবা যেন তার ব্রত হয়ে ওঠে। সেই নুসরাত কবিরের জীবনে রয়েছে অনন্য এক গল্প।

প্রত্যন্ত গ্রামে ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হয়ে নানা অনিশ্চয়তায় পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হয়েছে। বাড়ি থেকে কলেজের দূরত্ব ৪০ কি: মি: হওয়ায় কঠিন সংগ্রামের মাধ্যমে পড়ালেখা সম্পন্ন করতে হয়েছে। এক পর্যায়ে হোস্টেলের কঠিন জীবন সংগ্রাম ও নানা প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে শিক্ষাজীবন চালিয়ে নিয়েছেন তিনি। পরিবার থেকে বাল্যবিয়ের চাপ উপেক্ষা করে একজন সফল যুব নারী সংগঠক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমানে নানাবিধ প্রতিকূলতা উপেক্ষা করেও নিজের পড়াশুনা চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি সামাজিক কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করা তার মূল লক্ষ্য। স্বামী কিংবা পরিবারের ওপর নিভর্রশীল না হতে চাকরিতে যোগদান এবং পাশাপাশি নারী ও যুবদের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন অদ্যাবধি।

তিনি অভিপ্রায় যুব সমাজ কল্যাণ সংস্থা প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। UNICEF  ও USAID  এর সক্রিয় সদস্য। হাসপাতালে মূমুর্ষ রোগীদের রক্তের জন্য হাহাকার দেখে ২০১৭ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পড়া অবস্থায় ১৫ বছর বয়সে ১৮ জন সদস্য নিয়ে অভিপ্রায় যুব সমাজ কল্যাণ সংস্থা প্রতিষ্ঠা করে (রেজি: নং- যুউঅ/গাজী-১৬৪)।

২০১৮ সালে ২৪ ঘন্টা বিনামূল্যে রক্তদাতা যোগান দেয়ার জন্য কল সেন্টার চালু করেন। যার মাধ্যমে সারা বাংলাদেশ থেকে দৈনিক ৫ থেকে ৬ ব্যাগ বিনামূল্যে রক্তের ব্যবস্থা করা হয়। ২০১৭ সাল থেকে ২৬ হাজার ব্যাগ রক্ত বিনামূল্যে ব্যবস্থা করা হয়েছে। ২০১৭ সাল থেকে তার পরিচালনায় ৬৯টি বিনামূল্যে রক্তের গ্রæপ নির্ণয় কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। যেখানে প্রায় ৩৬ হাজার লোকের রক্তের গ্রæপ নির্ণয় পরীক্ষা করা হয়। পাশাপাশি রক্তদানে উদ্বুব্ধকরণে কাউন্সিলিং করা হয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads